অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৫ কবে? কখন করবেন পুজা?কেন অক্ষয় তৃতীয়া এত পবিত্র তিথি?জানুন অক্ষয় তৃতীয়ার সম্পুর্ন খুটিনাটি তথ্য।অক্ষয় তৃতীয়া হিন্দুধর্মে এক অত্যন্ত পবিত্র দিন। অক্ষয় তৃতীয়া মানেই শুভ সূচনা, অক্ষয় তৃতীয়া এই মহাপুণ্য তিথিতে কৃতকর্মের ফল কখনো বিনষ্ট হয় না।

{tocify} $titel={Table of Contents}
অক্ষয় তৃতীয়া কি?
বৈশাখের শুক্লা তৃতীয়া তিথি বা শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথিকে অক্ষয় তৃতীয়া তিথি বলা হয়৷ এই মহাপুণ্যতিথি সনাতনী হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র তিথি। অক্ষয় তৃতীয়ার এই শুভ ক্ষণে সনাতনী হিন্দুরা মেতে ওঠে উৎসবে৷ নতুন বস্ত্র পরিধান থেকে শুরু করে নিজগৃহ বা বাণিজ্যক্ষেত্র সাজানো,সবই এই তিথিতে করা হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য বলে শেষ করা যায় না৷ অপরিসীম মাহাত্ম্যপুর্ণ এই অক্ষয় তৃতীয়ার পুজাপাঠেরও অন্যতম ভূমিকা আছে। হিন্দু সনাতনীরা এই তিথিতে পুজাপাঠ যাগযজ্ঞে ব্রতী হন।চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী এই দিন অনেক দোকানে “হালখাতা” করা হয় মঙ্গলমূর্তি গণেশের পূজা করে । এই তিথিতে বেশ কয়েকটি শুভ অনুষ্ঠান জড়িত ।
অক্ষয় তৃতীয়া মানে কি?
"অক্ষয়" মানে হলো **কখনো ক্ষয় না হওয়া**, আর "তৃতীয়া" মানে চান্দ্র মাসের তৃতীয় তিথি। বলা হয়,এই মহাপুণ্য তিথিতে করা প্রতিটি কর্ম অত্যন্ত শুভ ফলদায়ী ও কখোনই এই কর্মের ফল বিনষ্ট হয়না৷ তাই এই তিথি অক্ষয় তৃতীয়া।। অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি।
অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভকার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। যদি ভালো কাজ করা হয় তার জন্যে আমাদের লাভ হয় অক্ষয় পূণ্য আর যদি খারাপ কাজ করা হয় তবে লাভ হয় অক্ষয় পাপ। তাই এদিন খুব সাবধানে প্রতিটি কাজ করা উচিত। খেয়াল রাখতে হয় ভুলেও যেন কোনো খারাপ কাজ না হয়ে যায়। কখনো যেন কটু কথা না বেরোয় মুখ থেকে। তাই এদিন যথাসম্ভব মৌন থাকা জরুরী। আর এদিন পূজা,জপ,ধ্যান,দান,অপরের মনে আনন্দ দেয়ার মত কাজ করা উচিত। যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সতর্কভাবে। এদিনটা ভালোভাবে কাটানোর অর্থ সাধনজগতের অনেকটা পথ একদিনে চলে ফেলা।
পুরাণ অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য
অথান্যামপি বক্ষ্যামি তৃতীয়াং সর্ব্বকামদাম্ ।যস্যাংদত্তং হুতং জপ্তং সর্ব্বং ভবতি চাক্ষয়ম্ ।।বৈশাখশুক্লপক্ষে তু তৃতীয়া যৈরুপোষিতা ।অক্ষয়ং ফলমাপ্নোতি সর্ব্বস্য সুকৃতস্য চ ।।
অর্থাৎ- ঈশ্বর বলছেন, অনন্তর সর্বকামদায়িনী তৃতীয়া তিথির বিষয় বলিতেছি । এই তিথিতে দান, হোম, জপ যাহা কিছু করা যায় , সব অক্ষয় হইয়া থাকে । বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে যে সকল লোক পূজাদি ব্রত করে , তাহারা নিখিল সুকৃত সঞ্চয়ের অক্ষয় ফল প্রাপ্ত হইয়া থাকে।
এই তিথিতে বেশ কিছু আধ্যাত্মিক তত্ত্ব জড়িত। “অক্ষয় তৃতীয়া” একটি পবিত্র তিথি। “অক্ষয়” শব্দের অর্থ যার ক্ষয় নেই । এমন বলা হয় এইদিন আপনি যা দান করবেন তার অক্ষয় ফল প্রাপ্ত করবেন । যে সকল পুণ্য কর্ম করবেন তা অক্ষয় হয়ে থাকবে ।
গঙ্গার মর্তে আগমন
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন গঙ্গা দেবী মর্তে এসেছিলেন। সগর রাজার বংশ কপিল শাপে ভস্ম হলে- তাঁদের প্রেতাত্মার মুক্তির জন্য রাজা সগর এর বংশ পরম্পরায় তপস্যা চলে। ভগীরথের তপস্যায় প্রজাপতি ব্রহ্মা , গঙ্গা কে মর্তে আসবার অনুমতি দিলে একজন ধারকের প্রয়োজন হয়- কারন সরাসরি গঙ্গা দেবী বসুমতীতে অবতরণ করলে বসুমতী সেই বেগ সহ্য করতে অসমর্থা ছিলেন । ভগবান শিব সেই ধারক হন। পতিতপাবনী জাহ্নবী গঙ্গার স্পর্শে সেই প্রেতাত্মাগণের মুক্তি ঘটে । সেই পুন্যসলিলা মা গঙ্গার একবিন্দু পবিত্রজলেতে মহাপাপ নাশ হয় ।
ধূমাবতীর আবির্ভাব
দশমহাবিদ্যা দের মধ্যে মহাবিদ্যা মা ধূমাবতীর আবির্ভাব এই তিথিতেই হয় । দেবী এই বেশে সম্পূর্ণ আলাদা । তিনি বার্ধক্যে জর্জরিতা , সাদা থান পরিহিতা , কাকধ্বজ রথাসীনা , ঝাঁটা ও শূর্পধারিনী । দেবী স্বামীহীণা অর্থাৎ তিনি ভৈরবহীনা । এই ধূমাবতী দেবীর আবির্ভাব আজকের দিনে ।
পরশুরামের জন্ম
ক্ষত্রিয় কূলের লাগামছাড়া অত্যাচারে ভগবান বিষ্ণু অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ভৃগু বংশে অবতার গ্রহণ করেন । মহর্ষি জমদাগ্নি মুনির পত্নী রেনুকাদেবীর গর্ভে তিনি আবির্ভূত হন। তাঁর নাম হয় রাম । ভগবান শিবের তপস্যা করে ইনি “পরশু” বা কুঠার প্রাপ্ত করেন- এবং তা ধারন করেন । সেই থেকে তাঁর নাম হয় পরশুরাম । ইনি দুষ্ট ক্ষত্রিয় দের ধ্বংস করেন ।
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হস্তিনাপুরে কৌরবেরা শঠতা ও চালাকী অবলম্বন করে পাণ্ডবদের সাথে পাশা খেলে – পাণ্ডবদের পরাজিত করে সমস্ত কিছু নিয়ে নেয়। এমনকি যাজ্ঞসেনী দ্রৌপদীকে সভামাঝে নিয়ে এসে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় দ্রৌপদীর মান সম্মান অক্ষত থাকে ।
দ্রৌপদীর অক্ষয় পাত্র প্রাপ্তি
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দ্রৌপদী সূর্য দেবতার থেকে অক্ষয় পাত্র প্রাপ্ত করেন । এই পাত্রে যা চাওয়া যেতো- সে তাই আহার প্রদান করতো । যতক্ষণ না দ্রৌপদী আহার করতো- ততক্ষণ এই পাত্র আহার দিতো। দ্রৌপদীর আহার হয়ে গেলে সেদিনের মতো এই পাত্র আর কিছু দিতো না। দুর্যোধন চালাকী দ্বারা মহর্ষি দুর্বাসা কে দ্রৌপদীর কাছে শিষ্য সমেত আহারের জন্য প্রেরন করেন । সেদিন দ্রৌপদীর আহার হয়ে গেলে মহর্ষি দুর্বাসা তার পাঁচ হাজার শিষ্য সমেত আসেন । পাণ্ডব গণ মহাচিন্তায় পড়লেন । কারন দুর্বাসা মুনি ক্ষিপ্ত হলে তাঁর অভিশাপে ভয়ানক কিছু একটা হতে পারে। তাই তাঁরা বিপদভঞ্জন মধূসুদন কে স্মরণ করলেন । শ্রীকৃষ্ণ এসে সব শুনে দেখলেন সেই অক্ষয় পাত্রে বিন্দুমাত্র শাকান্ন অবশিষ্ট আছে । ভগবান তাই সেবা নিলেন । সাথে সাথে সমগ্র জীবের উদর তৃপ্ত হোলো। দুর্বাসা মুনি ও তাঁর শিষ্যদের মনে হোলো তারা আকণ্ঠ খেয়েছেন, চলার শক্তি নেই, উদর খাদ্যে পূর্ণ । পরদিন পাণ্ডবেরা মহর্ষি দুর্বাসা ও তাঁর শিষ্যদের আদর যত্ন আপ্যায়ন করে ভোজোন করালেন ।
গণেশের মহাভারত রচনাযাত্রা
এছাড়া অক্ষয় তৃতীয়ার দিন গণপতি গনেশ বেদব্যাসের মুখনিঃসৃত কথা শুনে মহাভারত রচনা শুরু করেন।
বৈভবলক্ষ্মী
এই তিথিতেই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
ভক্ত সুদামা ও শ্রীকৃষ্ণ
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ভক্তরাজ সুদামা শ্রী কৃষ্ণের সাথে দ্বারকায় গিয়ে দেখা করেন এবং তাঁর থেকে সামান্য চিঁড়া নিয়ে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সকল দুঃখ মোচন করেন।
রথনির্মাণ সূচনা
এদিন থেকেই পুরীধামে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রথ নির্মাণ শুরু হয়।
অক্ষয়দীপ দর্শন
কেদার বদরী গঙ্গোত্রী যমুনত্রীর যে মন্দির ছয়মাস বন্ধ থাকে এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল।
এই হোলো অক্ষয় তৃতীয়ার কিছু প্রধান ঘটনা । এছারা লৌকিক, পৌরাণিক অনেক ঘটনা এই তিথির সাথে জড়িত ।
কেন অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সোনা কেনা হয়?
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন স্বর্ণ ইত্যাদি কিনতেই হবে এমন কোনও শাস্ত্র নির্দেশনা নেই। মূলত লৌকিক বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই এই তিথিতে স্বর্ণাদি সম্পদ কিনতে ব্যস্ততা দেখা যায়।
মনে করা হয়, অক্ষয় তৃতীয়ার দিন স্বর্ণ ক্রয় করলে, তা আমাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি বহন করে নিয়ে আসে। দেবী লক্ষ্মী যেহেতু স্বর্ণে অধিষ্ঠান করেন,তাই স্বর্ণ ক্রয় করলে স্বয়ং লক্ষ্মীদেবীর আগমন ঘটবে গৃহে, এই ভেবেই অনেক মানুষ এই দিনে সোনা কিনে থাকেন।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কী কী করা উচিত?
পুণ্য কাজ ও ধর্মীয় ক্রিয়াকলাপ
অক্ষয় তৃতীয়ার তিথিতে করা প্রতিটি কর্ম অক্ষয় হয়ে থাকে,তাই এই তিথিতে সবসময় পুণ্য কর্মের দিকেই নজর রাখা উচিত। ধর্মীয় পুস্তকাদি পাঠ,পুণ্যকর্মের মাধ্যমেই কাটানো উচিত এই মহা পুণ্য তিথি।
গঙ্গাস্নান বা কাছের কোনো নদীতে স্নান করা
দেবী গঙ্গা সনাতন হিন্দু ধর্মের পবিত্রতম নদী বলে মান্যতা পায়। দেবী গঙ্গায় স্নান করলে ভক্ত সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন। তাই এই মহাপুণ্য তিথিতে অবশ্যই দেবী গঙ্গায় একবার অন্তত অবগাহন করা উচিত, যদি সুযোগ থাকে।
বিষ্ণু ও লক্ষ্মী দেবীর পুজো করা
অক্ষয় তৃতীয়ার পুজাপাঠ কোনও সাধারণ দিনের পুজাপাঠ নয়৷ মনে রাখতে হবে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজার ফল চিরকাল অক্ষয় হয়ে থাকবে৷ তাই এই তিথিতে অবশ্যই প্রত্যেক সনাতনী হিন্দুর গৃহে ভক্তি সহকারে ইষ্ট দেবদেবীর আরাধনা করা উচিত৷ এর সাথে সম্ভব হলে অবশ্যই গৃহমন্দিরে শ্রীবিষ্ণু ও দেবী লক্ষ্মীর পুজা করা উচিত৷
অনঘ মন্ত্র পাঠ
অক্ষয় তৃতীয়ার পুজাপাঠ মন্ত্র ছাড়া সম্ভব না, তাই ভক্তরা অবশ্যই প্রত্যেকে মন্ত্রপাঠ করবেন। বহু মন্ত্র থাকলেও, অবশ্যই শ্রীবিষ্ণুর অনঘ মন্ত্র পাঠ করা উচিত৷ নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে আপনারা এই অনঘ মন্ত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন। অক্ষয় তৃতীয়ার পুজার সময় অবশ্যই এই বিশেষ মন্ত্র পাঠ করুন।
দান করা
ভুললে চলবে না, এই অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য অপরিসীম। এই তিথিতে করা প্রতিটি কর্ম অক্ষয় হয়ে থাকে। তাই দানপুন্য করে থাকেন যে মহাত্মা মানুষেরা, তারা এই মহাতিথিতে অবশ্যই অন্ন,বস্ত্র,ঘৃত,স্বর্ণ,তৈলাদি বিভিন্ন উপকরণ কোনও সদ ব্রাহ্মণকে দান করুন৷ এরপর যথাশক্তি দুঃস্থদের দান করুন। দানের পুন্য অপরিসীম, আর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দানের মাহাত্ম্য, সে বলার অপেক্ষা রাখেনা৷
তুলসী গাছের পূজা এবং জল দান করা
এই তিথিতে অতি অবশ্যই ভক্তরা তুলসী গাছে জল দিন, বিল্ববৃক্ষ,অশ্বত্থ বা বট গাছে জল দিন। প্রকৃতির সেবা করুন। বৃক্ষ রোপন করুন। পশুপাখীকে খাদ্য দিন। যেকোনও কর্ম যা এই প্রকৃতির আনন্দের কারণ হয়, তাই এই তিথিতে অবশ্যই করতে ভুলবেননা।
অক্ষয় তৃতীয়ার বিশেষ কিছু বিশ্বাস
সুর্য নমস্কার
মনে করা হয়, অক্ষয় তৃতীয়ার এই মহাপুন্য দিনে সূর্যনমস্কার করলে বিশেষ পুণ্যফল লাভ হয়। তাই ভক্তরা এই তিথিতে ভোর বেলা অবশ্যই ভগবান সুর্য নারায়ণকে অর্ঘ্য প্রদান করে প্রণাম করতে ভুলবেন না। কি মন্ত্রে সুর্য প্রণাম করবেন? জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
শ্রীসূর্যাষ্টকম্ স্তোত্র: জীবনের অন্ধকার দূর করার এক মহৌষধি
বাণিজ্যারম্ভ
যদি আপনি কোনও নতুন বানিজ্য শুরু করতে চান, বা আপনার মাথায় যদি কোনও বানিজ্যের চিন্তা থাকে,তবে এই অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্য তিথিই এই বাণিজ্য শুরুর অত্যন্ত শুভ সময়। লোক মান্যতা অনুযায়ী, এই দিন বাণিজ্য শুরু করলে তা বহুবছর সমৃদ্ধি দেয়। তাই আর দেরী না করে, এই তিথিতেই করুন বাণিজ্যারম্ভের সূচনা।
বৈবাহিক সূচনা
যে যুবকযুবতীরা বিবাহে আগ্রহী,তারা বৈবাহিক বিষয়ের আলোচনা এই তিথিতে শুরু করতে পারেন। মনে করা হয়, বিবাহ সাত জন্মের বন্ধন। জন্ম জন্মান্তরের বন্ধন। তাই এমন পুন্য তিথি অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনের প্রতিটি কর্ম অক্ষয়৷ তাই এই তিথির থেকে শুভ তিথি আর আসতে পারেনা।অবিবাহিত যুবক-যুবতীদের জন্য অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ শুভ। কারণ এই দিনে বৈবাহিক আলোচনা শুরু করলে তা অবশ্যই অক্ষয় হবে।
অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৫ কবে?
যেকোনও বছরের অক্ষয় তৃতীয়াই অত্যন্ত শুভ ফলদায়ী। কিন্তু, এই বছর অর্থাৎ, ২০২৫ সালের অক্ষয় তৃতীয়া কবে পড়েছে বা পুজা পাঠের শুভ সময় কি, সেটা জানা অত্যন্ত আবশ্যক। কারণ, তা না জানলে ভক্তদের পক্ষে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজা করা সম্ভব না৷ নীচের লিঙ্কে ক্লিক করে জেনে নিন অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৫ এর তারিখ ও শুভ সময়।